October 10, 2024, 12:30 pm

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

আফগানিস্তানে ৬ মাসেই হতাহত প্রায় ৪০০০ বেসামরিক

আফগানিস্তানে ৬ মাসেই হতাহত প্রায় ৪০০০ বেসামরিক

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই অন্তত ৩ হাজার ৮১২ বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও নেটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কারণেই হতাহতের এ সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে, গতকাল এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ এমনটাই বলেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে দেড় যুগ ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জাতিসংঘ।

মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা আগামি ১ সেপ্টেম্বরের আগেই তালেবানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

কূটনৈতিক এ তৎপরতার মধ্যেই দেশটিতে যুদ্ধের তীব্রতা আগের তুলনায় বেড়েছে; স্থলে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের পাশাপাশি আফগান সরকার ও নেটো-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলাগুলোও বেসামরিকদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে স্থল অভিযান ও সংঘাতের ফলেই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বেসামরিক হতাহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। হতাহতের কারণ হিসেবে এর পরের দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে বোমা হামলা ও বিমান হামলা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তালেবান ও ইসলামিক স্টেটের হাতে ৫৩১ আফগান নিহত এবং এক হাজার ৪৩৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএএমএ। কট্টরপন্থি এ গোষ্ঠী দুটি পরিকল্পিতভাবেই ৯৮৫ জন বেসামরিকের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হামলার শিকার এসব লোকজনের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন আদিবাসী নেতা, দাতা সংস্থার কর্মী ছাড়াও ধর্মীয় নেতারা আছেন। এ ছয় মাসে সরকার সমর্থকদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭১৭ বেসামরিক আফগান; আহত হয়েছেন আরও ৬৮০ জন। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। চলতি বছর নিহতদের মধ্যে ১৪৪ জন নারী ও ৩২৭টি শিশুও আছে; দেশজুড়ে আহত নারী-শিশুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে, বলেছে জাতিসংঘের এ মিশন।

বিমান হামলায় হতাহতের সংখ্যা ৫১৯, এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই দেড়শ, জানিয়েছে তারা। সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রমের আওতায় মার্কিন ও নেটোভুক্ত অন্যান্য দেশের স্বল্প সংখ্যক সৈন্য এখন দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে অবস্থান করছে। বেসামরিক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ইউএনএএমএ-র কর্মপদ্ধতি এবং প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট। জাতিসংঘের এ মিশনের তুলনায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মার্কিন বাহিনীর তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া ‘অনেক তথ্যসমৃদ্ধ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সঠিক’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আফগানিস্তান সরকার কিংবা তালেবানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর